
জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমীর এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, “দেশে ১৮ কোটি মানুষকে রেখে যারা বিদেশে অবস্থান করেন তারা দেশপ্রেমিক নন। ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব ছেড়ে এসে যদি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন, দুই কূলই হারাবেন।”
তিনি দাবি করেন, জামায়াতের নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি, বরং বিদেশ থেকে এসেই ফাঁসির মঞ্চেও চড়েছেন। অথচ অনেক রাজনৈতিক নেতা বিদেশে থেকে দেশে ফিরতে সাহস পান না।
রোববার বিকেলে যশোরের চৌগাছায় যশোর-২ (ঝিকরগাছা–চৌগাছা) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ডা. মোসলেহ উদ্দিন ফরিদের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন তিনি। সভায় তিনি ফরিদকে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ফরিদ ইংল্যান্ডে ৩০ বছর নাগরিকত্ব রেখে এসেছেন। মানুষকে সেবা করতে নিজের সবকিছু ছেড়ে দেশে ফিরেছেন।”
এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, জামায়াত দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে সর্বাগ্রে দুর্নীতি দমন করবে। তাঁর দাবি, বাংলাদেশ গরিব নয়, সম্পদশালী দেশ; তবে চরিত্রবান নেতৃত্বের অভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে।
তিনি নিজের ফাঁসির দণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “আমি তিনটি ফাঁসির দণ্ড পেয়েছিলাম। কিন্তু আন্দোলনের পর মুক্ত হয়েছি। কেউ বলে জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি করবে- আমাদের দুই মন্ত্রী তিনটি মন্ত্রণালয় চালিয়েও কেউ দুর্নীতির প্রমাণ দেখাতে পারেনি।”
তিনি আরও বলেন, “ক্ষমতায় গেলে ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে বেকারত্ব দূর করব। দেশে বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকার যাকাত আদায় করা সম্ভব। যাকাতভিত্তিক অর্থনীতির মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন হবে।”
একটি রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অমুসলিমদের জোর করে ধর্মান্তরিত করার অপপ্রচার চালানো হয়। তার দাবি, আওয়ামী লীগের সময় মন্দিরে হামলা হলেও দায় চাপানো হয়েছিল জামায়াত–শিবিরের ওপর, অথচ গত দুই বছর ধরে তাদের কর্মীরা মন্দির পাহারা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমরা কারও ওপর হামলা করব না। তবে কেউ হামলা করতে এলে দুই হাত নিয়ে যেতে পারবে না।”
ভোটকেন্দ্র সুরক্ষায় যুবকদের ভূমিকা নিয়েও তিনি বক্তব্য দেন, “যুবকরা কেন্দ্রে পাহারা দেবেন। আমাদেরও দুই হাত আছে- আক্রমণ এলে প্রতিহত করবো।”





























