শনিবার । ডিসেম্বর ৬, ২০২৫
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮:৫১ অপরাহ্ন
শেয়ার

মান-অভিমান ভুলে আবারও একফ্রেমে শাকিব-বুবলী


shakib-bubliদীর্ঘদিনের দূরত্ব আর সম্পর্কের টানাপোড়েন পেছনে ফেলে আবারও একসঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গেল ঢাকাই সিনেমার তারকা জুটি শাকিব খান ও শবনম বুবলীকে। সঙ্গে ছিলো ছেলে বীর। ২০১৮ সালে গোপনে বিয়ে করেছিলেন তারা, সেই সংসারেই জন্ম নেয় শেহজাদ খান বীর। কিন্তু বিয়ের দুই বছর পর থেকেই তাদের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে।

পরে একাধিক সাক্ষাৎকারে শাকিব জানান, বুবলীর সঙ্গে তার এখন কোনো সম্পর্ক নেই, শুধুমাত্র সন্তানের মা হিসেবে যোগাযোগ আছে। অন্যদিকে বুবলী দাবি করেন, শাকিব খান তার সন্তানের বাবা ও বর্তমান স্বামী। তাদের মাঝে মনমালিন্য রয়েছে, তবে বিচ্ছেদ হয়নি।

এসবের মাঝেই সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দেন শাকিব খান। দেশ ছাড়ার আগে জানিয়ে যান, এবার ছেলে বীরের সঙ্গে সময় কাটাতে চান তিনি। অনেকটা গোপনেই বুবলীও ছেলেকে নিয়ে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ঘুরে বেড়ানোর বেশ কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, রুজভেলট আইল্যান্ডের শান্ত পার্কে একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন শাকিব-বুবলী ও তাদের সন্তান বীর।

ছবিগুলো ভাইরাল হওয়ার পরেই রোববার (৩ জুলাই) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শাকিবের সঙ্গে আরও কিছু ছবি পোস্ট করেন বুবলী, যেখানে ফুটে উঠেছে তাদের পারিবারিক সময়ের একঝলক।

ফেসবুকে শেয়ার করা বুবলীর মোট ১১টি ছবিতে দেখা যায়, সবুজ ঘাসে খালি পায়ে হাঁটছেন শাকিব, এক সময় ধরে রেখেছেন ছেলে শেহজাদ খান বীরের হাত, আরেক সময় বুবলীর হাত। ছবিগুলোর ক্যাপশনে বুবলী লেখেন- ‘যুক্তরাষ্ট্রের জীবন।’

এর আগেও বড় ছেলে আব্রাহাম খান জয়কে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে বেড়িয়েছিলেন শাকিব খান। সে সময়েই এই তারকা বলেছিলেন, আব্রামের মতো বীরকেও তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসবেন। মেগাস্টার তার কথা রেখেছেন। অপু-জয়ের পর বুবলী-বীরকে নিয়েও ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি।

দীর্ঘ সময় পর এই পুনর্মিলন ভক্তদের মাঝে তৈরি করেছে নতুন কৌতূহল—তবে কি সম্পর্কের বরফ গলছে? আবারও কি কাছাকাছি আসছেন শাকিব-বুবলী?

ব্যক্তিগত জীবনে শাকিব খান ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেছিলেন অপু বিশ্বাসকে। তাদের ঘরে আসে প্রথম সন্তান আব্রাহাম খান জয়। সেই সম্পর্কের পরিসমাপ্তি ঘটে ২০১৭ সালে। এরপর ২০১৮ সালে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন বুবলীর সঙ্গে, সেই সংসারেরই ফল শেহজাদ খান বীর।