
স্ট্রিমিং দুনিয়ায় ইতিহাস গড়ে ভারতীয় নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানসালি। তাঁর নির্মিত ‘হীরামন্ডী: দ্য ডায়মন্ড বাজার’ নেটফ্লিক্সে মুক্তির পর শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বব্যাপী দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। সাংস্কৃতিক দ্যুতি, জমকালো প্রোডাকশন ডিজাইন ও আবেগঘন গল্প- সব মিলিয়ে এটি হয়ে উঠেছে ভারতের গ্লোবাল স্টোরিটেলিংয়ের এক মাইলফলক।
নিচে তুলে ধরা হলো সিরিজটির পাঁচটি দিক, যেখানে ‘হীরামন্ডী’ ছাপিয়ে গেছে পুরোনো সব সীমানা—
১. নেটফ্লিক্সে রেকর্ড ভাঙা অভিষেক
মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ৪৫ লাখ ভিউ ছুঁয়ে নেটফ্লিক্সের গ্লোবাল টপ-১০ (নন-ইংলিশ) তালিকায় জায়গা করে নেয় সিরিজটি।
৪৩টির বেশি দেশে ট্রেন্ডিং হওয়া এই শো দ্বিতীয় সপ্তাহে দর্শকসংখ্যা বাড়িয়ে ৮৫ লাখ ভিউ ছাড়িয়ে যায়।
ভারতীয় কোনো সিরিজের ক্ষেত্রে- এটি অভূতপূর্ব সাফল্য।
২. বানসালির আড়ম্বরের বিশ্বজয়
সোনালী সেট, কাব্যময় নাচ, শৌখিন পোশাক- প্রতিটি ফ্রেম যেন বড় পর্দার জাদুতে ভরপুর। হলিউডের ব্লকবাস্টারদের সমকক্ষ ভিজ্যুয়াল ভাষা দেখিয়ে ভারতীয় সৌন্দর্যকেই সামনে এনেছেন পরিচালক।
৩. ভারতীয় আবেগের সার্বজনীন ভাষা
ব্রিটিশবিরোধী লাহোর- ভালোবাসা, বিশ্বাসঘাতকতা, ক্ষমতা ও টিকে থাকার লড়াইয়ের গল্প।
দেশ-সংস্কৃতি ভেদে ভিন্ন হলেও এই মানবিক আবেগ বিশ্বদর্শকের হৃদয়ে সাড়া ফেলেছে। পাশাপাশি ভারতীয় ইতিহাসের এক কম পরিচিত অধ্যায়কেও সামনে এনেছে সিরিজটি।
৪. তারকার অভিনয়ে গভীর গল্প বলার ক্ষমতা
মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, রিচা চাড্ডা, অদিতি রাও হায়দারির মতো তারকাদের শক্তিশালী অভিনয়—
চরিত্রগুলোকে করেছে জীবন্ত।
ড্রামাটিক টানটান উত্তেজনা, গান ও নাচ- সব মিলিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তুমুল আলোচনা তৈরি করেছে বিশ্বজুড়ে।
৫. ভারতীয় অরিজিনাল কনটেন্টের নতুন যুগ
ব্যাপক সাফল্যের পর নেটফ্লিক্স দ্রুত ‘হীরামন্ডী সিজন-২’ ঘোষণার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছে- গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে ভারতীয় কনটেন্টের সম্ভাবনা অনন্ত।
নতুন সিজনে দেশভাগ-পরবর্তী ভারতকে কেন্দ্র করে গল্প এগোবে বলে জানা গেছে। সারা বিশ্বের দর্শকদের আগ্রহ এখন সেদিকেই।
সূত্র: ডিএনএ



























