
বলিউডে বহু অভিনেত্রী সালমান খানের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও খুব কমজনই দীর্ঘসময় আলোচনায় থাকতে পেরেছেন। কিন্তু ১৯৯১ সালের ‘পাথর কে ফুল’ ছবির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করা রাভিনা ট্যান্ডন ৯০-এর দশকের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা হয়ে ওঠেন। তবে এই ছবির শুটিং চলাকালে সালমান ও রাভিনার মধ্যে নাকি হয়েছিল বারবার মনোমালিন্য ও তর্ক-বিতর্ক।
চিত্রনির্মাতা অনন্ত বালানির পরিচালনায় ছবিটির শুটিং চলার সময় দু’জনের মধ্যে এমন উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল যে, সালমান খান পরবর্তীতে ঘোষণা দিয়েছিলেন- তিনি আর রাভিনা ট্যান্ডনের সঙ্গে কাজ করবেন না।
কিন্তু ভাগ্যের লিখন অন্যরকম ছিল। তিন বছর পর, ১৯৯৪ সালে রাজকুমার সন্তোষীর ‘আন্দাজ আপনা আপনা’ ছবিতে ফের একসঙ্গে পর্দায় হাজির হন সালমান ও রাভিনা। একই ছবিতে ছিলেন আমির খান ও করিশমা কাপুরও। মুক্তির সময় ছবিটি বক্স অফিসে বড় কোনো সাফল্য না পেলেও, পরবর্তীকালে এটি হয়ে ওঠে বলিউডের এক কালজয়ী কমেডি ক্লাসিক।

রাভিনা ট্যান্ডন ২০২১ সালে পিংকভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্মৃতিচারণ করে বলেন, “আমরা দু’জন তখন একেবারে স্কুলপড়ুয়া বাচ্চার মতো আচরণ করতাম- প্রতিটি বিষয়ে ঝগড়া হতো। আমি তখন সাড়ে ১৬, আর সালমানের বয়স ২৩। দু’জনই দুষ্টু প্রকৃতির ছিলাম। সালমানের চাচা সেলিম সাহেব ও আমার বাবা একসঙ্গে কাজ করতেন, তাই আমরা প্রায় একই পরিবেশে বড় হয়েছি। মনে হতো, আমরা যেন বাড়ির ঝগড়াগুলো সেটে গিয়েও চালিয়ে যাচ্ছি! পুরো ছবিটায় আমরা ঝগড়া করেছি, তারপর সালমান বলেছিল- ‘আমি আর ওর সঙ্গে কাজ করব না।’ কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা আবার একসঙ্গে করেছিলাম ‘আন্দাজ আপনা আপনা’।”
‘আন্দাজ আপনা আপনা’-তে আরও অভিনয় করেছিলেন পরেশ রাওয়াল, শক্তি কাপুর, বিজু খোটে, টিকু তলসানিয়া, শাহজাদ খান ও দেভেন ভার্মা। মুক্তির সময় এটি তেমন সাড়া না পেলেও সময়ের পরিক্রমায় সিনেমাটি আজ ভারতের কমেডি ঘরানার এক কিংবদন্তি চলচ্চিত্র হিসেবে বিবেচিত।



























