
অস্কারজয়ী মার্কিন অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ডায়ান কিটন
অস্কারজয়ী মার্কিন অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ডায়ান কিটন মারা গেছেন। শনিবার (১১ অক্টোবর) ৭৯ বছর বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে পিপল ম্যাগাজিন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। পরিবারের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ম্যাগাজিনটি জানায়, মৃত্যুর সময় তার প্রিয়জনরা পাশে ছিলেন। কিটনের মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি।
ডায়ান কিটন ‘এনি হল’, ‘দ্য গডফাদার’ এবং ‘ফাদার অফ দ্য ব্রাইড’ চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকের হৃদয় জয় করেছিলেন। তার মৃত্যুর খবরে বিশ্বজুড়ে ভক্ত ও সহশিল্পীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ডায়ান কিটন এমন এক অভিনেত্রী ছিলেন, যিনি সিনেমাকে করে তুলেছিলেন কালজয়ী। ‘এনি হল’ ছবিতে তার ‘লা-ডি-দা, লা-ডি-দা’ সংলাপ, খাকি প্যান্ট, ভেস্ট, টাই আর বোলার হ্যাটের আইকনিক সাজ কিংবা ‘দ্য গডফাদার’ সিরিজে কায় অ্যাডামস চরিত্রে তার আবেগঘন অভিনয়—সবই প্রজন্মের পর প্রজন্ম দর্শকের মনে স্থায়ী ছাপ ফেলেছে।
‘এনি হল’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তিনি অস্কার জয় করেন এবং বিভিণ্ন সময়ে আরও তিনবার অস্কারের মনোনয়ন পান।
১৯৪৬ সালের জানুয়ারিতে লস অ্যাঞ্জেলেসে জন্মগ্রহণ করেন ডায়ান হল (কিটন তার মায়ের পদবি)। তার মা ছিলেন গৃহিণী ও আলোকচিত্রী, আর বাবা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। পরিবার শিল্পকলার অনুরাগী ছিল, যা কিটনের ফ্যাশন ও স্থাপত্যপ্রেমেও প্রতিফলিত হয়।
স্কুলজীবন থেকেই থিয়েটার ও সংগীতের প্রতি আগ্রহি ছিলেন তিনি। এক বছর কলেজে পড়ার পর অভিনয়ের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে নিউ ইয়র্কে চলে যান।
১৯৭০ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় কিটনের। তবে প্রকৃত সাফল্য আসে ‘দ্য গডফাদার’ দিয়ে। কায় অ্যাডামস চরিত্রে তার অনবদ্য অভিনয় তাকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দেয়।
পরে উডি এলেনের সঙ্গে তিনি একাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তবে ১৯৭৭ সালের ‘এনি হল’ তাকে এনে দেয় এক অনন্য উচ্চতা। চলচ্চিত্রটি রোমান্টিক কমেডির ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ হিসেবে স্বীকৃত।
উডি এলেনের সঙ্গে কিটনের ব্যক্তিগত সম্পর্কও ছিল; তারা ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত প্রেমে আবদ্ধ ছিলেন, পরবর্তীতে আজীবন বন্ধুত্ব বজায় রাখেন।
তিনি আল পাচিনো ও ওয়ারেন বিটির সঙ্গেও সম্পর্ক জড়িয়েছিলেন, তবে কখনও বিয়ে করেননি। জীবনের শেষভাগে তিনি দুই সন্তান— কন্যা ডেক্সটার এবং এক পুত্র ডিউককে দত্তক নেন।
অভিনয়ের পাশাপাশি কিটন পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি লেখক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।



























